মানুষ তিন কিসিমের হয়- মাস্তিবাজ, হতাশ আর সিরিয়াস।
মাস্তিবাজদের লম্বা কোন প্ল্যান থাকে না। উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে না। যখন যা মনে আসে তখন তাই করে ফেলে। খেলা থাকলে, লাফাইতে লাফাইতে স্টেডিয়ামে চলে যায়। মুভি হিট খাইলে, দলবল নিয়ে মুভি দেখে। চান্স পাইলেই ঘুরতে চলে যায়। কারণ তারা আজকের দিনটার জন্য বাঁচে। আজকের মুহূর্তটা উপভোগ করে। আগে-পাছে কি হবে, কি ছিল সেটা নিয়ে টেনশন করে না।
.
হতাশ মানুষেরা অতীতকে নিয়ে বাঁচে। তাদের চিন্তাভাবনা অতীতের মধ্যেই পড়ে থাকে। তারা নিজের অতীত নিয়ে আফসোস করে। অন্যের অতীত নিয়ে সমালোচনা করে। অতীতের ঘটনা আঁকড়ে ধরে বসে থাকে। অতীতের রেফারেন্স দিয়ে অন্যদের নিরুৎসাহিত করে। অতীতে কি ছিলো সেটা নিয়ে বড়াই করে।
.
আর সিরিয়াস লোকেরা। ফিউচারকে নিয়ে বাঁচে। ফিউচারকে নিয়ে ভাবে। ফিউচারের জন্য কাজ করে। এরা আগের রেকর্ড দেখে নিজেদের ঘুটিয়ে রাখে না। বরং আগের রেকর্ড দেখে, সেই রেকর্ড ভাঙ্গার জন্য জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে। দুনিয়াতে এমন কোন সফল মানুষ দেখাতে পারবা না যে- অতীতকে নিয়ে পড়ে আছে। সফল এবং সিরিয়াস মানুষেরা সবসময়ই ফিউচার নিয়ে বাঁচে।
.
মনে রাখবা- জীবনে সুখী হতে চাইলে মাস্তিবাজ হতে হবে। সফল হতে চাইলে সিরিয়াস হতে হবে। এই দুইটা হইতে না পারলে, অটোমেটিক্যালি- হতাশ ক্যাটাগরিতে পড়ে যাবে। তখন চারপাশে নেগিটিভিটি দেখতে পাবে। টায়ার্ডনেস ফিল করবে। একটু ভেজাল, একটু ঝামেলা দেখলেই লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবে। লম্বা লম্বা নিউজ পরে গবেষণায় করতে ব্যস্ত থাকবে।
.
এই হতাশ ক্যাটাগরিতে থাকতে না চাইলে, আশেপাশের হতাশ মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। সিরিয়াস কারো বন্ধু হবে। সিরিয়াস কাউরে না পাইলে ইন্টারনেটে সিরিয়াস কাউকে খুঁজে বের করে তাকে ফলো করতে হবে। আর মনে রাখবে- দশজন হতাশ ফ্রেন্ডের সাথে থেকে হতাশ হওয়ার চাইতে, বন্ধুহীন থাকা শ্রেয়।
(সংগ্রহিত)