ধরেই নেওয়া হয় যে, আপনি যদি কোনো লোককে অপ্রীতিকর (ভয় বা অস্বস্তির অনুভূতি উদ্রেককারী) ভাবেন তাহলে আপনি তার সঙ্গে ডেটিং করবেন না। কিন্তু এরপরও ভালোবাসা অন্ধ। ফলে এমটা ঘটাও স্বাভাবিক যে আপনি হয়তো নিজের অজান্তেই কোনো অপ্রীতিকর লোকের সঙ্গে ডেটিং করছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞান কী বলে।
নিউ আইডিয়াস ইন সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায়, কীসে একজন লোককে সত্যিই অপ্রীতিকর করে তোলে।
গবেষণাটির জন্য অনলাইনে একটি জরিপ কার হয়। এতে অংশ নেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১ হাজার ৩৪১ জন মানুষ। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন।
সেসব উত্তর বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন:
১. পুরুষদেরকেই সাধারণত নারীদের তুলনায় বেশিরভাগ সময় অপ্রীতিকর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
২. নারীরা বরং বেশিরভাগ সময় যৌন হুমকিকেই অপ্রীতিকর ভাবতে অভ্যস্ত।
৩. অস্বাভাবিক তৎপরতা অপ্রীতিকর হওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
৪. কিছু সখ এবং চাকরি আছে যা মানুষকে সত্যিই অপ্রীতিকর করে তোলে।
আসুন তাহলে সে চাকরিগুলো নিয়ে আলোচানা করি। আপনি যদি ভাঁড়, চর্মপ্রসাধক, যৌন পণ্যের দোকানের মালিক বা শবযাত্রার পরিচালক হন তাহলে দুঃখিত, কারণ লোকে আপনাকে অপ্রীতিকর লোক ভাবেন।
এছাড়া কিছু আচরণ এবং অঙ্গভঙ্গি আছে যেগুলো কাউকে আরো বেশি অপ্রীতিকর করে তোলে।
১.আপনার চোখে চোখ রেখে কথা না বলা
২.আপনার ছবি তুলতে চাওয়া
৩.লোকের সঙ্গে কথা বলা বা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া শুরুর আগেই তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করা।
৪. আপনি তাদেরকে না চিনলেও তারা আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।
৬. খুবি বেশি বা খুব কম আবগে প্রদর্শন করা।
৭. বয়স্ক ভাব নেওয়া।
৮. যে কোনো কথপোকথনকে যৌনতার দিকে ধাবিত করা।
কিন্তু অপেক্ষা করুন: জরিপে লোকে সর্বশেষ যে প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন সেটিই ছিল সেরা: “বেশিরভাগ অপ্রীতিকর লোকই কি নিজেরা জানেন যে তারা অপ্রীতিকর। ” এর উত্তরে ৬০ শতাংশই বলেছেন, “না”।
আর স্পষ্টতই কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর ফলে আমরা কিছু লোককে দেখার পর বেশি অপ্রীতিকর অনুভূতি লাভ করি। গবেষকরা বলছেন, বিবর্তনের ধারাবাহিকতায়ই আমরা কোনো হুমকির উপস্থিতির অনিশ্চয়তা সম্পর্কে একটি অভিযোজিত মানসিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে অভ্যস্থ হয়েছি। যার ফলে আমরা যখন কোনো উদ্ভট জিনিস বা ব্যক্তির উপস্থিতি টের পাই আমরা আরো বেশি সতর্ক হয়ে উঠি।
সুতরাং, আপনি যদি কোনো চর্মপ্রসাধকের সঙ্গে ডেটিংয়ে যান যিনি একজন ভাঁড় হিসেবে চাঁদের আলো ছড়ান এবং আপনার চোখের দিকে তাকান না- আপনি হুঁশিয়ার হয়ে যান।
সূত্র : ফক্স নিউজ