এমনি চাইলেই শখ করে কেউ নিজের হাত কাটতে পারে না, কিংবা চাইলেই কেউ হঠাৎ করে ফ্যানের সাথে ঝুলতে পারে না। ঘুমের ওষুধ বা বিষ খাওয়ার ব্যাপারটাও এরকম। বিষ বা ঘুমের ওষুধ এমন সুস্বাদু না যে কেউ খুশি মনে এগুলো খেতে পারবে। ট্রেনের নিচে নিজের দেহটাকে শেষ করার সিদ্ধান্তটা কেউ পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যে নিতে পারে না। কিংবা ফ্যানের সাথে ঝুলার মত সাহস কেউ শখ করেও করে না।
আত্মহত্যাকারী প্রত্যেক মানুষই কারো না কারো দ্বারা কোনো না কোনো ভাবে দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত হয় বা লাঞ্ছিত হয় এবং অবশেষে খুন হয়।
হ্যাঁ,খুন হয়।
দিনের পর দিন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত মানুষটা নিজের শরীরটাকে শেষ করে মাত্র।মন তো তার অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
সবাই একা একা লড়াই করে বেঁচে থাকতে পারে না। কারণ উপরওয়ালা সবাইকে সমান পরিমাণ মানসিক শক্তি দেয়নি। চারপাশ থেকে পাওয়া কষ্ট কেউ চাইলেই ঝেড়ে ফেলে দিতে পারেনা। সব কিছু নতুন করে শুরু করার দ্ঢ়তা সবাই পায় না।
একজন আত্মহত্যাকারীকে সবাই যতই নিন্দা করুক, পাপী, কাপুরুষ বলুক বা জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া বলুক। আমি বলব সে ছিল অবহেলিত।
যদিও আত্মহত্যা মানসিক চাপ বা অবসাদের করতে পারে না, তবুও একটা মানুষকে মানসিক ভাবে শেষ করার জন্য আর তার আত্মবিশ্বাস শেষ করার জন্য তার আশে পাশের মানুষদের অবহেলা, লাঞ্ছনা এবং আঘাত দিয়ে কথা বলাটাই দায়ী। তাই কোনো আত্মহত্যাকারীকে পাপী বলার আগে আমি তার সেই আশেপাশের মানুষদের পাপী বলব। যারা তার আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দায়ী।।