আমাদের দেশের বড় একটা মুসলিম গোষ্ঠী প্রাক্টিসিং মুসলিম নয়। সারা সপ্তাহ এদের খুঁজে পাওয়া না গেলেও জুম্মার নামাযে কাওকে কাওকে পাওয়া যায়। এদের মেয়েরা জিন্স শার্ট পরিধান করে আবার আযান শুনলে গলায় উঠিয়ে রাখা ওড়নাটা মাথায় একটু ছোঁয়াতে থাকে। এই সমাজের লোকেরা কোরআনকে অসম্ভব ভক্তি করে বেধে আলমারিতে তুলে রাখে! কেউ যেন চোখেও না দেখতে পারে। এরা কোরবানীর সময় সবচেয়ে বেশি দামে গরু কিনে কোরবানি দিয়ে পরিবারের সবাই দল বেধে সিনেমা হলে ছবি দেখতে যায়।
এদের ইসলামী জ্ঞান বলতে মুখে শোনা কিছু গাল গল্প, হুমায়ন আহমেদ, হুমায়ন আজাদের বই ও সিনেমা নাটকে ইসলামের যেসব আচার অনুষ্ঠান দেখানো হয় তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এভাবে চলতে চলতে ধর্মীয় জ্ঞান শুন্য পরিবারের সন্তান গুলো নাস্তিক হয়ে যায়।
যেমন নাস্তিক ইমরান এইচ সরকার দুদিন আগে এক টক শোতে বললো, কাবা শরীফ থেকে যখন সকল মুর্তি ধ্বংস করা হয় তখন রাসুল (সাঃ) মা মেরির মুর্তি ধ্বংস করতে নিষেধ করেছিলেন! ও হয়তো কোন বাংলা ছবি দেখতে যেয়ে কোন ডায়লগে এমন শুনেছিল। ছোটকাল থেকে এসব শিক্ষা পেয়ে আজকে সে নাস্তিক হয়ে গেছে।
এই শ্রেনীটা আলেম ওলামাদের প্রচণ্ড ঘৃনা করে! বয়সী দাড়ি ওয়ালা কাওকে দেখলে এরা রাজাকার মনে করে। কারন আমাদের দেশের নাটক সিনেমায় রাজাকারের চেহারা এভাবে বানানো হয়। আমাদের শিশুরা এসব দেখে মনের ভিতর রাজাকারের চিত্রটা একে ফেলে! ধরুন রাজাকার হিসাবে এখন যাদের বিচার করা হচ্ছে ৭১ সালে এদের বয়স ছিল ১৮-২২ বছরের ভিতর। তারমানে ঠিকভাবে দাড়ি গোঁফই তাদের উঠেনি। এই যদি হয়ে থাকে রাজাকারের চেহারা তাহলে কোন নাটক সিনেমায় এই এপর্যন্ত কেউ দেখছে ২০ বছর বয়সী রাজাকারের কমাণ্ডারের চিত্রায়ন? আসলে ইসলামকে হেয় ও অপমান করতে এই মহলটি সুচিন্তিতভাবে এই কাজ গুলো করে যাচ্ছে...
নন প্রাক্টিসিং মুসলিম শ্রেনীটা মায়ের ভক্তি শেখে "আম্মাজান আম্মাজান গানটি শুনে। আর বিপদে পড়ে আল্লাহ্র কাছে কিছু চাইতে চলে যায় গাধাশাহ মাজারে। কারন এমনি তারা সিনেমায় দেখে...
আজ ইফতারি দশ মিনিট আগে দ্রুত বাসায় ফিরছিলাম। মোড়ের চায়ের দোকান পার হয়ে আসার সময় শুনতে পেলাম ইফতারির ঠিক আগ মুহুর্তে ভাবগাম্ভীর্যের সাথে চায়ের দোকানদার জাজ মাল্টিমিডিয়ার হালের নামকরা ইসলামী গান আল্লাহ্ মেহেরবান... মাওলারে... বাজাইতেছে। ভিডিও ছাড়া এই গানের মাধুর্য আর হালের অনেক ইসলামী গানের মাধুর্যের ভিতর কোন ফারাক চায়ের দোকানদারের কাছে নেই। যখন ছবিটা মুক্তি পাবে আর এই শ্রেনীটা ছবিটা দেখতে যেয়ে আগে বাজানো পছন্দের ইসলামী গানের সাথে একটি চরম ইসলামী নাচ দেখে আসবে!
আমাদের সাধারণ মুসলিম সমাজের মাথায় ভুল ইসলাম ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য এই মহলটি অনেক পরিশ্রম করছে। আর এই ষড়যন্ত্র ঠেকানোর জন্য আমাদের কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত নেই! যেসব পরিচালক শিল্পী প্রতিনিয়ত এভাবে ইসলামকে অপমান করছে তাদেরকে যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই জুতাপেটা করলে কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা আছে।